, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃ ত্যু  

  • আপলোড সময় : ০৩-১২-২০২৩ ০৮:৩৭:২৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-১২-২০২৩ ০৮:৩৭:২৩ অপরাহ্ন
পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃ ত্যু  
বগুড়ার শাজাহানপুরে অবরোধের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘ধাওয়ায়’ পালিয়ে যাওয়ার সময় ফোরকান আলী নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকাল আটটার দিকে উপজেলার ফটকি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ফোরকান আলী উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের ঘাষিড়া সুফিপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের বড় ছেলে। তিনি খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল সাতটার দিকে অবরোধের সমর্থনে শাজাহানপুর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি ফটকি ব্রিজ এলাকায় এলে র‌্যাবের একটি টহল তাদের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় মিছিলে থাকা নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

ফটকি ব্রিজ থেকে ফুলতলা যাওয়ার পথে খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফুরকান আহত হন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান। পরে ফোরকান শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সকালে নিহত ফোরকান আলীর জামাতা তুহিনকে আটক করে থানা পুলিশ। তাকে আটকের দু'ঘণ্টা পর থানা হাজত থেকে তার বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

তুহিনকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, সকালে ফটকি ব্রিজ এলাকায় ৮ থেকে ৯ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে পুলিশের গাড়ি দেখে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তুহিনকে আটক করা হয়। পরে তুহিন জানান তার শ্বশুর মারা গেছেন, এ কারণে তিনি এখানে এসেছেন। এই ঘটনা শোনার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।


উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন জানান, আজ সকালে হরতালের সমর্থনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ফটকি ব্রিজ এলাকায় আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল হঠাৎ পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশ লাঠি চার্জ করে মিছিলটি ছত্র ভঙ্গ করে দেয়।

তবে ফোরকানের পরিবার থেকে মৃত্যুর কারণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো কিছু বলা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

ফোরকানের ভাই ওমর ফারুক জানান, আমার ভাই সকালে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। কোনো মিছিলে অংশ নেওয়ার বিষয় জানি না।

জানতে চাইলে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মুনির হোসেন বলেন, এ ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। ফোরকান স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ওরা যেখানে মিছিল করেছেন সেখানে পুলিশ বা র‌্যাবের কেউ যায়নি। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার বিন্দুমাত্র কোনো বিষয় নেই। তবে বড় জোড় র‌্যাব-পুলিশের টহল গাড়ি থাকতে পারে। ফোরকানের ঘটনাকে রাজনৈতিক ফ্লেভার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া